নোটিশ : পাকুন্দিয়া প্রতিদিনের আপডেটের কাজ চলছে। সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা দু:খিত

১৬ বছর আগে নিহত শিশু ও সাত বছর ধরে প্রবাসী মামলার আসামি!


 সাত বছর ধরে মালয়েশিয়ায় থাকা কায়েছ মিয়া ও ১৬ বছর আগে হত্যার শিকার রনি মিয়াকে সম্প্রতি এক হামলার মামলায় আসামি করা হয়েছে। ২০ এপ্রিল কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় ৩১ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন অষ্টগ্রাম উপজেলার আব্দুল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা আয়ুব আলী। মামলায় ৩১ নম্বর আসামি করা হয়েছে রনিকে আর ২০ নম্বর আসামি করা হয়েছে কায়েছকে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ১৭ এপ্রিল অষ্টগ্রাম উপজেলার খয়েরপুর-আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের আব্দুল্লাপুর গ্রামের কয়েকজন একটি মারামারির মামলার আসামি হিসাবে কিশোরগঞ্জ আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে আদালত পাড়া সংলগ্ন ডায়াবেটিস অফিসের সামনে প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলার শিকার হন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মামলার ২ নম্বর সাক্ষী দুলাল মিয়াকে ৩১ নম্বর আসামি রনি ছুরি দিয়ে ডান কাঁধে কোপ দিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করেন। মামলার ২০নং আসামি কায়েছ লোহার রড দিয়ে সাক্ষী কবির মিয়াকে এলোপাতাড়ি পেটান। তারপর আসামি হাকিম ও কায়েছ মিলে লোহার রড দিয়ে সাক্ষী ফরিদ মিয়াকে মারধর করেন। এ ঘটনায় বাদী হয়ে ২০ এপ্রিল কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় ৩১ জনকে আসামি করে মামলা করেন আয়ুব আলী।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, মামলার ৩১ নম্বর আসামি রনি ২০০৯ সালে ঢাকার এয়ারপোর্ট এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলায় খুন হন। তখন তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়া করছিলেন। অপরদিকে, ২০ নম্বর আসামি কায়েছ ৭ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন।

কিশোরগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ টুটুল উদ্দিন বলেন, নিহত ও প্রবাসী দুই ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে, মামলা তদন্তকালে এসব ঘটনা বেরিয়ে আসলে নাম বাদ দেওয়াসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post