পাকুন্দিয়া উপজেলার সব সংবাদসহ, গুরুত্বপূর্ণ জাতীয়, রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলার সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন => Pakundiapratidin.news ** আপনার আশেপাশে ঘটে যাওয়া সকল সংবাদ আমাদের জানাতে পেইজে মেসেজ দিন অথবা হোয়াটস্অ্যাপে যোগাযোগ করুন- 01683130971 ** যে কোনো বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন- 01401300029 অথবা 01303405500 **

জামিনে মুক্তি পেয়ে মদের পার্টি করা সেই আ.লীগ নেতা এবার ধর্ষণ মামলায় কারাগারে





কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে জুলাই আন্দোলনের একাধিক মামলার আসামি মদ্যপানে নৃত্যে মেতে ওঠা নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুক ভূঁইয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর এবার কাজের মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।



শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে দুপুরে উপজেলার ধোবাজোড়া গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ওমর ফারুক ভূঁইয়া মিঠামইন উপজেলার ধোবাজোড়া গ্রামের রমিজ উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে। ফারুক ভূঁইয়ার উল্লেখযোগ্য পদ-পদবি না থাকলেও সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মামাতো ভগ্নিপতি হিসেবে স্থানীয় রাজনীতিতে তার দাপট ছিল।


এর আগে গত (০৬ জুলাই) সময়ের কণ্ঠস্বরে ‘জামিনে মুক্তি পেয়ে খুশিতে মদ পান করে আ.লীগ নেতার নৃত্য’ এ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।


জানা যায়, মিঠামইন থানার পুলিশ জুলাই আন্দোলনের একাধিক মামলার আসামি ওমর ফারুক ভূঁইয়াকে ঘাগড়া বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠান। পরে তিনি উচ্চ আদালত থেকে দুই মামলায় গত ২৭ জুন জামিন নিয়ে কারাগার থেকে ছাড়া পান। জামিনে বেরিয়ে ওমর ফারুক ভূঁইয়া আওয়ামী লীগের লোকজনকে নিয়ে রাতে বিভিন্ন গ্রামে গোপন বৈঠক করে বেড়ান এবং নেশাগ্রস্ত হয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হন। এদিকে তার ঘরের কাজকর্মে নিয়োজিত এক মেয়ে প্রায়ই ওমর ফারুকের নজরে পড়ে। গত (১০ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে ওমর ফারুক ভূঁইয়া কাজের মেয়ে শাহানাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় ওই কাজের মেয়ে বাদী হয়ে আজ শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে ওমর ফারুক ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মিঠামইন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।


ওই মামলায় আজ দুপুরে উপজেলার ধোবাজোড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।


অভিযোগ রয়েছে, অর্থ বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে ঘাগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুক সাংবাদিকসহ গ্রামবাসীর নামে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেছেন। গত (০২ জুলাই) স্থানীয় সাংবাদিক গোলাপ ভূঁইয়াসহ ৮ জনকে আসামি করে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ করেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে জামিন উদযাপনের ৪৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিও চিত্রে শোনা যায়, ‘এমন জামিন করে খেতে হয় রে’ বলে তিনি মদের বোতল হাতে নেচে নেচে গান গাইছিলেন।


মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বিষয়টি  নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওমর ফারুক ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


Post a Comment

Previous Post Next Post