কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার পাঠুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নে কলাদিয়া গ্রামের মো. আব্দুল আউয়ালর ছেলে প্রবাসী মো. দিদার হোসেন (২৫) এর মরদেহ দেশে ফিরেছে। তিনি দীর্ঘ ৭ বছর ধরে সৌদি আরবের আল আরাবিয়া কোম্পানিতে চাকুরী করতেন। গত ১০ জুন ডিউটি অবস্থা বৈদ্যুতিক শট সার্কিটে তার মৃত্যু হয় ।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) তার মরদেহ আসলে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে ভাগ্য পরিবর্তনে জন্য ৭বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান দিদার । গত ১০ জুন সৌদি আরবে আল আরাবিয়া কোম্পানিতে ডিউটি অবস্থা বৈদ্যুতিক শট সার্কিটে হলে তাৎক্ষণিক সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মো. দিদার হোসেনের ৪০ দিনের বয়সে ছেলে সন্তান রয়েছে। সংসারে অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা মা ও স্ত্রী এক বোন রয়েছে। তিনি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। তার বাড়িতে মরদেহবাহী এম্বুলেন্স আসার খবরে ছুটে এসেছেন আত্মীয় স্বজন। এলাকায় শোকের মাতম চলছে।
দিদার এর খালাতো ভাই খায়রুল হাসান মামুন জানান, সংসারের সমস্ত খরচ জোগান দিত কামরুল। আজ তার মৃতেুতে পরিবারটি চরম বিপাকে পড়েছে। আমার ভাই সদা হাস্যজ্জল ছিলো গত এক বছর আগে ছুটিতে বাড়িতে আসছিল ছুটি শেষে আবার প্রবাসে চলে যাই। দিদার এর লাশ বাড়িতে আসলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। আজ বাদ জহুর নিজ বাড়িতে জানাজার পর তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
-সোর্সঃ জনবানী অনলাইন