পাকুন্দিয়া উপজেলার সব সংবাদসহ, গুরুত্বপূর্ণ জাতীয়, রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলার সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন => Pakundiapratidin.news ** আপনার আশেপাশে ঘটে যাওয়া সকল সংবাদ আমাদের জানাতে পেইজে মেসেজ দিন অথবা হোয়াটস্অ্যাপে যোগাযোগ করুন- 01683130971 ** যে কোনো বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন- 01401300029 অথবা 01303405500 **

পাকুন্দিয়ায় উপবৃত্তি পায়নি প্রাথমিকের ৫ হাজার শিক্ষার্থী



কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা কামালের গাফেলতিতে উপজেলার পৌরসদরসহ তিনটি ইউনিয়নের পাঁচ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের মাঝে ভয়াবহ অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।


প্রতিদিন স্কুলের অফিস কক্ষে ভিড় করছেন অভিভবকেরা। শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, নতুন সফটওয়্যার ধীরগতিতে কাজ করায় আইপিএমআইএস থেকে বাদ পড়েছে এসব শিক্ষার্থীর নাম।


জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারের আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ভর্তি ও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করা হয়। দু’টি ক্যাটাগরিতে ছয় মাস পর পর ৯০০ টাকা এবং এক হাজার ৮০০ টাকা করে সরকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। সাধারণত শিক্ষার্থীদের মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে নিবন্ধিত মোবাইল ব্যাংকিং ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টে এই উপবৃত্তির টাকা পাঠানো হয়।


সম্প্রতি সারাদেশে উপবৃত্তির কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য নতুন সফটওয়্যারে শিক্ষার্থীদের ছবিসহ তালিকা হালনাগাদ করার কাজ শেষ হয়। এতে পাকুন্দিয়া পৌরসদরসহ মির্জাপুর ও হোসেন্দী- তিনটি ক্লাস্টারের ৮০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঁচ হাজার ২৬০ শিক্ষার্থীর নাম আইপিআইএমএসের তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায়। এই তিনটি ক্লাস্টারের দায়িত্বে ছিলেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: মোস্তফা কামাল।


এই তিন ক্লাস্টারের কয়েকজন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের নির্দেশ মোতাবেক তারা তাদের স্কুলের সকল শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির চাহিদার তালিকা সময়মত অনলাইনে পূরণ করে সকল কাজ সম্পন্ন করে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা কামালের মেইলে পাঠিয়ে দিয়েছেন। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা যাচাই করে শিক্ষা কর্মকর্তার মেইলে পাঠানোর কথা থাকলেও তিনি তা করেননি।


সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো: মোস্তফা কামাল এ বিষয়ে বলেন, ‘উপবৃত্তির তালিকা প্রেরণের শেষ সময়টাতে আমি ট্রেনিংয়ে ছিলাম। তাছাড়া সার্ভার জটিলতার দরুণ আমার মোবাইলে কাজ করতে পারছিলাম না। ভেবেছিলাম হয়তো সময় আরো বাড়ানো হবে। আমি উপবৃত্তি শাখায় এ ব্যাপারে কথা বলেছি। আশা করছি, একটা সমাধান হয়ে যাবে।’


এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ দৌলত হোসেন ভূইয়া জানান, ‘সহকারী শিক্ষা অফিসাররা আমার আইডিতে উপবৃত্তির চাহিদা পাঠানোর সাথে সাথেই আমি এপ্রুভ করে দেই। কিন্তু এই তিনটি ক্লাস্টারের চাহিদা আমার আইডিতে আসেনি। চাহিদা জমাদানের শেষ সময় রাত ১১.৫৯ মিনিট পর্যন্ত ছিল। আমি শেষ সময় পর্যন্ত চেক করে সকল চাহিদা এপ্রুভ করে দিয়েছি। কিন্তু পরে জানতে পারি তিনটি ক্লাস্টারের চাহিদা জমা হয়নি।’


তিনি আরো বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাকে কেউ অবগত করেনি। তবে কেন এমনটা হলো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সারাদেশে এমন ১৭ লাখ শিক্ষার্থী এ বছর উপবৃত্তি-সংক্রান্ত জটিলতায় পড়েছে। আমরা উপবৃত্তি শাখায় কথা বলেছি, তারা আশ্বস্ত করেছেন যে বাদপড়া শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা সেপ্টেম্বরে প্রদান করা হতে পারে।’


সূত্রঃ নয়া দিগন্ত অনলাইন

Post a Comment

Previous Post Next Post