কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার কালিয়াচাপড়া চিনিকলের ৪৭ শতাংশ জমি বিক্রির কথা বলে বায়না বাবদ টাকা নিয়ে সেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে নিটল মটরস লিমিটেডের বিরুদ্ধে। জমি রেজিস্ট্রি করে না দিয়ে উল্টো ক্রেতাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় গত ৯ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিটল মটরসের চারজন কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলা করেছেন হোসেনপুর উপজেলার ছাওয়ালিয়া গ্রামের মৃত জসিম উদ্দীনের ছেলে ভুক্তভোগী গোলাপ মিয়া। বিচারক আমিনুল ইসলাম জুনাঈদ মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কিশোরগঞ্জের গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন নিটল মটরস লিমিটেডের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মো. রেজাউল করিম, ডিজিএম মো. রাফেজ মিয়া ও ইকরাম হোসেন এবং কিশোরগঞ্জ ইকোনমিক জোনের ব্যবস্থাপক সাইফ উদ্দীন আহমেদ শামীম। তারা প্রত্যেকেই রাজধানীর এয়ারপোর্ট রোডের নিকুঞ্জ এলাকায় অবস্থিত নিটল-নিলয় টাওয়ারে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, আসামিরা পাকুন্দিয়া উপজেলার কালিয়াচাপড়া চিনিকলের অধীন হোসেনপুর উপজেলার রামপুর মৌজার ৪৭ শতাংশ পতিত জমি বিক্রির জন্য গোলাপ মিয়ার কাছে প্রস্তাব দেন। এতে গোলাপ মিয়া রাজি হয়ে ২০২২ সালের ২৮ জানুয়ারি বায়না বাবদ প্রথমে ২৩ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধ করেন।
পরে চার দফায় আরো ৩০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা দেন। তিনি জমি ক্রয় বাবদ মোট ৩১ লাখ আট হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধ করেছেন। সমস্ত টাকাই সাক্ষীদের উপস্থিতিতে নিটল মটরস লিমিটেডের প্যাডে স্বাক্ষর করে মানি রিসিপ্টের মাধ্যমে জমা নেন ডিজিএম ইকরাম। কিন্তু টাকা নেওয়ার তিন বছর পেরিয়ে গেলেও তাঁরা তাঁকে জমি রেজিস্ট্রি করে দিচ্ছেন না।
একই অভিযোগ মনোহরদী উপজেলার লেবুতলা গ্রামের হেলাল উদ্দিন, পাকুন্দিয়া পৌর সদরের ইয়াকুব আলী, পাকুন্দিয়া উপজেলার তারাকান্দি গ্রামের শফিকুল ইসলামের।
অভিযোগকারী গোলাপ মিয়া বলেন, জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার কথা বললে তাঁরা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। তাই উপায় না পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি।
কিশোরগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো. আজিজ আহমেদ বলেন, এ ব্যাপারে আদালত থেকে নির্দেশনা পেয়েছি। উভয় পক্ষকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
তদন্তের কাজ চলছে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পেশ করা হবে।