পাকুন্দিয়া উপজেলার সব সংবাদসহ, গুরুত্বপূর্ণ জাতীয়, রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলার সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন => Pakundiapratidin.news ** আপনার আশেপাশে ঘটে যাওয়া সকল সংবাদ আমাদের জানাতে পেইজে মেসেজ দিন অথবা হোয়াটস্অ্যাপে যোগাযোগ করুন- 01683130971 ** যে কোনো বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন- 01401300029 অথবা 01303405500 **

লাঠিচার্জে বিএনপি নেতার চোখ নষ্ট, সাবেক ওসি কারাগারে



লাঠিচার্জে খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমের চোখ নষ্ট হওয়ার মামলায় খুলনা সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।  
ফখরুল আলমের দায়ের করা মামলায় রোববার (১৫ জুন) দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন সাবেক ওসি মামুন।
 
খুলনা মহানগর দায়রা জজ মো. শরীফ হোসেন হায়দার তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারাগারে নেওয়ার আগে ক্ষিপ্ত বিএনপি নেতাকর্মীরা হাসান আল মামুনকে লক্ষ্য করে পচা ডিম ও আম নিক্ষেপ করেন। এ সময় তারা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ কে এম শহিদুল আলম বলেন, মামলাটিতে উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন হাসান আল মামুন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে রোববার খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আমরা জামিনের বিরোধিতা করি। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপির ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ এর কর্মসূচি চলাকালে খুলনা মহানগর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ওসি হাসান আল মামুনের আদেশে অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ও ফাঁকাগুলি করে শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করে তোলে।  

এ সময় ওসি হাসান আল মামুন নিজে ফখরুল আলমের মুখে আঘাত করেন এবং বলেন সারা জীবনের জন্য জবান বন্ধ করে দিব। পরে তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ফখরুল আলমের মাথায় বাড়ি মারেন। এতে তার চোখের মনি ফেটে রক্ত বের হয় এবং চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে দেশ ও বিদেশে চিকিৎসা করিয়েও চোখের আলো আর ফিরে পাননি খুলনার বিএনপি নেতা ফখরুল আলম।  
এ ঘটনায় ফখরুল আলম বাদী হয়ে গত বছর (১৯ আগস্ট) ওসি হাসান আল মামুনের নামে খুলনার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা দায়ের করেন (নম্বর-১০৮৯/২৪)।

Post a Comment

Previous Post Next Post