কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে নিহত দুই ছাত্রীর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জিআর (ক্যাশ) কর্মসূচির আওতায় এ সহায়তা দেওয়া হয়।
বুধবার (৪ জুন) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৫০ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শাহজাহান, বজ্রপাতে নিহত ছাত্রী ইরিনার বাবা জালাল উদ্দীন ও প্রিয়ার বাবা বাদল মিয়া।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, “দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বজ্রপাতে নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত ৬ মে দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার চরটেকী গ্রামের ইরিনা, প্রিয়া ও বর্ষা নামের তিন ছাত্রী একসঙ্গে বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। কিছুদূর যাওয়ার পর হঠাৎ বৃষ্টিসহ বজ্রপাত শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাতে ইরিনা, প্রিয়া ও বর্ষা গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইরিনা ও প্রিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইরিনা চরটেকী গ্রামের জালাল উদ্দীনের মেয়ে এবং প্রিয়া একই গ্রামের বাদল মিয়ার মেয়ে। তারা দুজনেই চরটেকী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
সূত্রঃ ইনকিলাব অনলাইন
