কি
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ৭৪ শতাংশ জমি লিখে নিয়েও চাকরি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার বর্ষাগাতি বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, এ ঘটনায় নগদ ৯ লাখ টাকা আত্নসাৎ করার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। চাকরি না পেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
এ ব্যাপারে সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মোছাঃ জোসনা আক্তার নামে এক নারী। তিনি উপজেলার আঙ্গিয়াদী (আদিত্যপাশা) গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানের স্ত্রী।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপেজেলার বর্ষাগাতি বালিকা দাখিল মাদ্রাসাটি ১৯৮৪ সালে স্থাপিত হয়। কিন্তু নির্ধারিত পরিমান জমি না থাকায় শিক্ষা বোর্ড থেকে মাদ্রাসাটির স্বীকৃতি আনতে পারছিলনা কর্তৃপক্ষ। নিরুপায় হয়ে ২০১১ সালে জোসনা আক্তারের কাছ থেকে অনুনয়-বিনয় করে মাদ্রাসার নামে ৭৪ শতাংশ জমি লিখে নেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ মহিবুর রহমান ও মাদ্রাসার সুপার মোঃ নজরুল ইসলাম। তবে এর বিপরীতে জোসনা আক্তারের মেয়েকে মাদ্রাসায় আয়া পদে ও তাঁর নাতি বউকে কম্পিউটার ল্যাব এসিস্ট্যান পদে চাকরিতে নিয়োগ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাঁরা। এছাড়াও জোসনা আক্তারের কাছ থেকে তিন দফায় ৯ লাখ ১২ হাজার টাকাও কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু প্রতিশ্রুতির ১৪ বছর পার হয়ে গেলেও তাদের চাকরি না দিয়ে তালবাহানা করছেন মাদ্রাসার সুপার নজরুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বিল্লাল হোসেন বলেন, অভিযোগের বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ওমর ফারুক ভূইয়া বলেন, তদন্তে চাকুরির প্রলোভনে ৭৪ শতাংশ জমি লিখে নেওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগকারী চার লাখ টাকার বিনিময়ে মাদ্রাসার নামে ৭৪ শতাংশ জমি লিখে দিয়েছেন। কিন্তু একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে ওই নারী আমি এবং মাদ্রাসার গভর্নিংবডির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রভাবশালী মহলের চাপে পড়ে আমার বিরুদ্ধে মনগড়া প্রতিবেদন দিয়েছে