পাকুন্দিয়া উপজেলার সব সংবাদসহ, গুরুত্বপূর্ণ জাতীয়, রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলার সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন => Pakundiapratidin.news ** আপনার আশেপাশে ঘটে যাওয়া সকল সংবাদ আমাদের জানাতে পেইজে মেসেজ দিন অথবা হোয়াটস্অ্যাপে যোগাযোগ করুন- 01683130971 ** যে কোনো বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন- 01401300029 অথবা 01303405500 **

তাড়াইলে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা ১২ বছরের শিশু, বৃদ্ধকে গণপিটুনি

 


কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে ধর্ষণের শিকার ১২ বছরের এক শিশু অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষায় বিষয়টি ধরা পড়লে এলাকাবাসী মোঃ হোসেন মিয়া (৪৫) নামের অভিযুক্ত ওই লোকটিকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

রবিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা নুরু মিয়া বাদী হয়ে অভিযুক্ত মোঃ হোসেন মিয়াকে আসামি করে তাড়াইল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ রবিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে গতকাল শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) রাতে স্থানীয় জনতা ওই লোককে তাড়াইল স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। গ্রেপ্তারকৃত হোসেন মিয়া তাড়াইল উপজেলার ধলা ইউনিয়নের কলুমা গ্রামের মৃত লাল মাহমুদের ছেলে।

তাড়াইল স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে বেসরকারি বিশেষায়িত স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র তাড়াইল স্পেশালাইজড হাসপাতালে অভিভাবকের সাথে ধর্ষণের শিকার ৬ষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েটি চিকিৎসা নিতে গেলে তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে আবাসিক চিকিৎসক ডা. ফয়সাল আহমেদ তুহিন আলট্রাসনোগ্রামের পরামর্শ দেন। পরীক্ষার রিপোর্টে ওই শিশুটি ২৫ সপ্তাহের গর্ভবতী। এমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতি অভিভাবককে তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ওই শিশুটির স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, তার প্রতিবেশী হোসেন মিয়া নামের এক ব্যক্তি এ ঘটনায় জড়িত। পরে হাসপাতালের ম্যানেজার ওয়াসিম আকন্দ সোহাগ অভিভাবকের উপস্থিতিতে অভিযুক্তকে গণপিটুনি দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে অভিযুক্তকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

মামলার সূত্রে জানা যায়, নাবালিকা মেয়েটি কলুমা ইকরা বাবুল উলুম মাদরাসায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে লেখা পড়া করেন। ধর্ষক হোসেন মিয়ার বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতো। চলতি বছরের মার্চ মাসের ২ তারিখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়িতে আসার সময় বিকেল ৪ টা ৩০ মিনিটে লাল মিয়া মাস্টারের পরিত্যক্ত পুকুরের কাছে আসলে শিশুটির পথ আটকিয়ে দেয় ধর্ষক হোসেন মিয়া। পরে শিশুটির মুখ চেপে ধরে লাল মিয়া মাস্টারের পরিত্যক্ত পুকুরের পাশে বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপরও বিভিন্ন সময় তাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

উপজেলার ধলা ইউনিয়নের কলুমা গ্রামের একাধিক বাসিন্দা বলেন, হোসেন মিয়া লোকটা খুবই খারাপ। এলাকার ছোট বাচ্চারা তাকে অনেক ভয় পায়।

উপজেলার ধলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফরোজ আলম ঝিনুক বলেন, তাড়াইল স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও স্থানীয় জনতা নরপশু ধর্ষক হোসেন মিয়াকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাতে তিনি শিশুটিকে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার ধলা ইউনিয়নের কলুমা গ্রামের মৃত লাল মাহমুদের ছেলে হোসেন মিয়ার নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষিত শিশুটির বাবা মামলা দায়ের করেছেন। আজ রবিবার দুপুরে হোসেন মিয়াকে কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post