পাকুন্দিয়া উপজেলার সব সংবাদসহ, গুরুত্বপূর্ণ জাতীয়, রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলার সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন => Pakundiapratidin.news ** আপনার আশেপাশে ঘটে যাওয়া সকল সংবাদ আমাদের জানাতে পেইজে মেসেজ দিন অথবা হোয়াটস্অ্যাপে যোগাযোগ করুন- 01683130971 ** যে কোনো বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন- 01401300029 অথবা 01303405500 **

আদালত থেকে ফেরার পথে মামলার বাদীকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত


কিশোরগঞ্জ জেলা জজ আদালত থেকে হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলম নামে একজনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার জেলখানা মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহত জাহাঙ্গীর আলম ভৈরব উপজেলার ঘোড়াকান্দা এলাকার বাসিন্দা।


জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম ভৈরব উপজেলার একই এলাকার মৃত কান্দর আলী ছেলে শেখ সাহেদ আলী (৫৮), সম্ভুপুর এলাকার মৃত ফালু মিয়ার ছেলে শমসের আলী (৬০), শমসের আলীর ছেলে আল আমিন (৩৮), ইউনুস মিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৬২) সাহেদ আলীর স্ত্রী তাসলিমা (৫০)কে অভিযুক্ত করে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন।

মঙ্গলবার আদালতে মামলায় হাজির হওয়ার তারিখ ছিল। হাজিরা শেষে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন অজ্ঞাত লোকজনকে দিয়ে জেলাখানা মোড় এলাকায় মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করে। কথাবার্তার এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর আলমকে শরীরের পেছন দিক দিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন জাহাঙ্গীর আলমকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার ভাই জাকির হোসেন প্রবাসে থাকায় তার পক্ষে আদালতে মামলা দায়ের করি। সেই মামলার মঙ্গলবার হাজির হওয়ার তারিখ ছিল। হাজিরা শেষে নিজ বাড়ি ভৈরব উপজেলার ঘোড়াকান্দা এলাকায় রওনা করি। পথে জেলখানা মোড় এলাকায় খাওয়ার জন্য দাঁড়ালে অজ্ঞাত ব্যক্তি আমাকে অভিযুক্ত সাহেদ আলী’র বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয় জানতে চাই। তাদেরকে মামলা দায়েরের বিষয় জানালে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বলেন। এসময় কথাবার্তার একপর্যায়ে শরীরের পেছন দিক দিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আমার সাথে আইয়ুব আলী নামে আরেকজন আইনজীবি ছিলেন তিনি বাঁধা প্রদান করলে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে স্থানীয় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমি থানায় অভিযোগ দিব। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের শাস্তি চাই।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘটনা জানার পর আমরা হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। তারা গিয়ে দেখে এসেছে। অভিযোগ দেওয়া হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সূত্র-সময়ের কন্ঠস্বর


Post a Comment

Previous Post Next Post