পাকুন্দিয়া উপজেলার সব সংবাদসহ, গুরুত্বপূর্ণ জাতীয়, রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলার সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন => Pakundiapratidin.news ** আপনার আশেপাশে ঘটে যাওয়া সকল সংবাদ আমাদের জানাতে পেইজে মেসেজ দিন অথবা হোয়াটস্অ্যাপে যোগাযোগ করুন- 01683130971 ** যে কোনো বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন- 01401300029 অথবা 01303405500 **

আবারও চিকিৎসার অবহেলায় সৈয়দ নজরুলে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ!



কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার অবহেলায় মো. মাহতাব (৫০) নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।


শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাত ১টার দিকে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাহতাব সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের পূর্ব জিনারাই গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে।


স্বজনদের অভিযোগ, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে গেলে মাহতাবকে দ্রুত হাসপাতালে আনা হয়। অবস্থার অবনতি দেখে তাকে চতুর্থ তলার মেডিসিন বিভাগের পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তবে ভর্তি করার পর প্রয়োজনীয় ওষুধ এনে দেওয়ার পরও দায়িত্বে থাকা নার্সরা কোনো চিকিৎসা দেননি বলে দাবি করেন স্বজনেরা।


তারা জানান, বারবার ডাকাডাকির পরও নার্সরা রোগীর কাছে না আসায় কিছুক্ষণ পরই মাহতাবের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর দায়িত্বে থাকা নার্স টুম্পা রানী সিং ও রুমা আক্তার ওয়ার্ড ছেড়ে বেরিয়ে যান বলেও অভিযোগ রয়েছে। ডিউটি খাতা পর্যালোচনা করেও তাদের অনুপস্থিত থাকার সত্যতা পাওয়া গেছে।


নিহতের স্বজনদের আরও অভিযোগ, নার্সদের গাফিলতির বিষয়ে ডিউটিরত চিকিৎসককে জানাতে গেলে তিনি উল্টো স্বজনদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। পরে কয়েকজন মেডিকেল শিক্ষার্থী এসে স্বজনদের আটকে রাখা, মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া এবং মারধরের চেষ্টা চালায় বলেও অভিযোগ রয়েছে।


ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে চাইলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জয় ক্যামেরার সামনে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।


কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, চিকিৎসার অবহেলায় মৃত্যুর খবর পেয়ে মেডিকেল পুলিশ পাঠানো হয়। তারা গিয়ে উত্তেজিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্বজনরা লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এটি প্রথম নয়-শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অতীতে একাধিকবার চিকিৎসা অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার অভিযোগ উঠেছে। জীবন বাঁচাতে রোগীরা হাসপাতালে ছুটে এলে যদি যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুবরণ করেন, তবে জবাবদিহিতা কোথায়-এ প্রশ্ন এখন এলাকাবাসীর।


Post a Comment

Previous Post Next Post