পাকুন্দিয়া উপজেলার সব সংবাদসহ, গুরুত্বপূর্ণ জাতীয়, রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলার সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন => Pakundiapratidin.news ** আপনার আশেপাশে ঘটে যাওয়া সকল সংবাদ আমাদের জানাতে পেইজে মেসেজ দিন অথবা হোয়াটস্অ্যাপে যোগাযোগ করুন- 01683130971 ** যে কোনো বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন- 01401300029 অথবা 01303405500 **

প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে ভারতে পাচারের পর মৃত্যু: যুবকের যাবজ্জীবন


ঢাকার আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানার নারী শ্রমিককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের পর ভারতে পাচার ও মৃত্যু ঘটনায় তার স্বামী সবুজ শেখকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।


এ ঘটনার প্রায় ১৫ বছর পর মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীমা পারভীন ওই যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। 



সাজাপ্রাপ্ত সবুজ শেখ (৩৭) কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বন্দিগাঁ গ্রামের সিরাজ শেখের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।



নাদিরা সুলতানা নদী ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মেছোরদিয়া গ্রামের ইমাম উদ্দিনের মেয়ে। ঘটনার পর ২০১১ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তার বাবা ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।


এজাহার সূত্রে জানা যায়, পোশাক কারখানা থেকে পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের সম্পর্ক ভালবাসায় গড়ালে ২০১০ সালের ১৩ জুনে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন দুজনে। বিয়ের পরে এক সপ্তাহ স্ত্রীর বাড়িতে অবস্থান করে ফিরে যান সবুজ এবং একই বছরের ৫ আগস্ট পুনরায় এসে কাউকে না বলে স্ত্রীকে নিয়ে চলে যান। এরপর ২০ নভেম্বর নাদিরা পরিবারকে ফোন করে জানান এক বান্ধবীসহ সবুজের বাড়িতে যাচ্ছেন তিনি। এদিনের পর থেকেই নিখোঁজ হন নাদিয়া।



চারদিন পর ভারত থেকে আইনজীবী পরিচয়ে বাদীর ছেলেকে ফোন করে জানায় নাদিরা পাচারের শিকার হয়ে ভারতের দমদম সেন্ট্রাল জেলে রয়েছে এবং পরেরদিন ওই জেলের শৌচাগার থেকে নাদিরার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ডেপুটি কমিশনের মাধ্যমে মেয়ের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।


এ বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন বলেন, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ে সন্তুষ্ট হয়েছি। এ রায়ে ভবিষ্যতে অপরাধের প্রবণতা কমে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post